মাওলা আলী(আঃ)কে নিয়ে ৮৩টি হাদিস দেয়া
হলো। সময় হলে পড়ে নিতে পারেন।
মাওলা আলী ইবনে আবি তালিব (আঃ) সম্পর্কে
প্রাণাধিক প্রিয়নবী এর ৮৪টি হাদীস[আহলে সুন্নাতের বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য হাদীস
গ্রন্থ থেকে সংকলিত]
১. মুমিনদের আমলনামার শিরোনাম রাসূলুল্লাহ
(সা.)বলেছেনঃ
عُنْوَانُ صَحِيفَةِ الْمُؤمِنِ حُبُّ
عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.
মুমিনের আমলনামার শিরোনাম হলো আলী
ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসা।
(আল মানাকিব– ইবনে মাগাযেলী: ২৪৩/২৯০,কানযুল উম্মাল ১১:৬০১/৩২৯০০,তারীখে বাগদাদ :
৪:৪১০)
২. আরবের সরদার রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَنَا سَيِّدُ وُلْدِ آدَم، وَ عَلِيٌّ
سَيِّدُ الْعَرَبِ.
আমি আদম সন্তানদের সরদার আর আলী
আরবদের সরদার।
(আল মু’ জামুল আওসাত-তাবারানী ২:২৭৯/১৪৯১,ইমাম আলী (আ.) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির
২:২৬২/৭৮৯,কানযুল উম্মাল-১১-১৮/৩৩০০৬)।
৩. হিকমতের দরজা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَنَا دَارُ الْحِكْمَةِ، وَ عَلِيٌّ
بَابُهَا.
আমি হিকমতের গৃহ আর আলী তার দরজা।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৭/৩৭২৩,হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪,আল জামিউস্ সাগীর
১:৪১৫/২৭০৪)
৪. জ্ঞানের নগরীর দরওয়াযা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَنَا مَدِينَةُ الْعِلْمِ وَ عَليُّ
بَابُهَا، فَمَنْ أَرَادَ الْمَدِينَةَ فَلْيَأتِ البَابَ.
আমি সমস্ত জ্ঞানের নগরী আর আলী তার
তোরণ। কাজেই যে এই নগরীতে প্রবেশ করবে তাকে তোরণ বা দ্বারের মধ্য দিয়ে আসতে হবে।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৬-১২৭,জামেউল উসুল ৯:৪৭৩/৬৪৮৯,উসুদুল গবাহ্ ৪:২২,তারীখে বাগদাদ
১১:৪৯-৫০,আল বেদায়াহ্ ওয়ান নেহায়া ৭:৩৭২,আল জামেউস্ সাগীর ১:৪১৫/২৭০৫)
৫. উম্মতের মধ্যে সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَعْلَمُ اُمَّتِي مِنْ بَعْدِي عَلِیُّ
بْنُ أَبِي طَالِبٍ.
আমার পরে আলী হলো আমার উম্মতের মধ্যে
সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৭৭,আল ফেরদৌস ১:৩৭০/১৪৯১)
৬. মহানবী (সা.)-এর ভাই রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইমাম আলীকে বলেনঃ
أَنْتَ أَخِي فِي الدُّنْيَا وَ
الْاَخِرَة.
তুমি দুনিয়া এবং পরকালে আমার ভাই।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২০,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২৪)
৭. রাসূলুল্লাহ্ (সা.)-এর মনোনীত রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَمَّا أَنْتَ يَا عَلِيّ، أَنْتَ
صَفِيِّي وَ أمِينِي.
আর তুমি হে আলী! তুমি আমার মনোনীত এবং
আমার আমানতদার।
(খাসায়েসে নাসায়ী : ১৯,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৫৬)
৮. মহানবী (সা.)-এর স্থলাভিষিক্ত হুজুর (সা.) হযরত
আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ
إِنَّ هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ
خَلِيفَتِي فِيكُمْ، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.
জেনে রেখো যে,সে তোমাদের মাঝে
আমার ভাই,উত্তরসূরি এবং স্থলাভিষিক্ত। সুতরাং তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনবে এবং
তার আনুগত্য করবে।
(তারীখে তাবারী ২:২১৭,আল কামিল ফিত্ তারীখ ২:৬৪,মাআলিমুত্ তানযীল
৪:২৭৮)
৯. মুমিনদের অভিভাবক রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
إنَّ عَلِيّاً وَلِيُّكُمْ بَعْدِي.
নিশ্চয় আলী আমার পরে তোমাদের অভিভাবক।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১২/৩২৯৬৩,আল ফেরদৌস ৫:২৯২/৮৫২৮)
১০. বিচারের সিংহাসনে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَقْضَي اُمَّتِي عَليُّ.
আলী আমার উম্মতের মাঝে সর্বাপেক্ষা
বিচক্ষণ বিচারক
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৬৭,মানাকিবে খারেযমী ৩০,যাখায়িরুল উকবা ৮৩)
১১. উম্মতের জন্য হুজ্জাত বা দলিল রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَنَا وَ عَلِيٌّ حُجَّةٌ عَلَي أُمَّتِي
يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
কেয়ামতের দিন আমি এবং আলী আমার
অনুসারীদের জন্য হুজ্জাত (দলিল) এবং পথপ্রদর্শনকারী।
(তারীখে বাগদাদ ২:৮৮)
১২. মহানবী (সা.)-এর একই বংশধারা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَنَا وَ عَلِيٌّ مِنْ شَجَرَةٍ
وَاحِدَةٍ، وَ النَّاسُ مِنْ أشْجَارٍ شَتَّي.
আমি আর আলী একই বৃক্ষ থেকে,আর অন্যেরা (মানুষ)
বিভিন্ন বৃক্ষ থেকে।
(আল মানাকিব– ইবনে মাগাযেলী :৪০০/৫৩,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৮/ ৩২৯৪৩,আল ফেরদৌস ১:
৪৪/১০৯,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১০০)
১৩. উম্মতের হেদায়াতকারী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أنَا الْمُنْذِرُ وَ عَلِيٌّ الْهَادِي،
بِكَ يَا عَلِيُّ يَهْتَدِي الْمُهْتَدُونَ.
আমি হলাম সাবধানকারী। আর হে আলী!
তোমার মাধ্যমে পথ অন্বেষণকারীরা পথ খুঁজে পাবে।
(তাফসীরে তাবারী ১৩:৭২,ইমাম আলী (আ.) (অনুবাদ)- ইবনে আসাকির
২:৪১৭/৯২৩)
১৪. জাতির পথ-প্রদর্শক রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইমাম আলীকে বলেনঃ
أنْتَ تُبَيِّنُ لِأُمَّتِي مَا
اخْتَلَفُوا فِيهِ بَعْدِي.
আমার পরে আমার উম্মত যে বিষয়ে মতবিরোধ
করবে তুমি তার সমাধান দান করবে।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২,কানযুল উম্মাল ১১:৬১৫/৩২৯৮৩,আল ফেরদৌস
৫:৩৩২/৮৩৪৯,হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৪)
১৫. মহানবী (সা.)-এর থেকে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أنْتَ مِنِّي وَ أَنَا مِنْكَ.
তুমি আমা থেকে আর আমি তোমা থেকে।
(সহীহ বুখারী ৪:২২,৫:৮৭,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৬,মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৫ ও
১৮৬/১০৪৮,তারীখে বাগদাদ ৪:১৪০)
১৬. মুমিনদের কর্তৃত্বের অধিকারী রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইমাম আলীকে বলেনঃ
أنْتَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ وَ مُؤمِنَةٍ
بَعْدِي.
আমার পরে তুমি প্রত্যেক মুমিন নর ও
নারীর ওপর কর্তৃত্বের অধিকারী।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪,আল মুজামুল কাবীর-তাবারানী
১২:৭৮/১২৫৯৩)
১৭. আদর্শের পথে শহীদ রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইমাম আলীকে বলেনঃ
أنْتَ تَعِيْشُ عَلَي مِلَّتِي، وَ
تُقْتَلُ عَلَي سُنَّتِي.
তুমি আমার পন্থায় জীবন যাপন করবে,আর আমার আদর্শের
পথেই শাহাদাত বরণ করবে।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৭/৩২৯৯৭,আল মুস্তাদরাক-হাকেম :৩/১৪২)
১৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর প্রাণ রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
إِنَّ عَلِيّاً مِنِّي، وَ أََنَا مِنْهُ،
وَ هُوَ وَلِيُّ كُلِّ مُؤمِنٍ بَعْدِي.
নিশ্চয় আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে।
আর সে আমার পরে সকল মুমিনের নেতা।
(খাসায়েসে নেসায়ী :২৩,মুসনাদে আহমাদ ৪:৪৩৮,আল মু’ জামুল
কাবীর-তাবারানী ১৮: ১২৮/২৬৫,হিল্লীয়াতুল আউলিয়া ৬:২৯৬)
১৯. মহানবী (সা.)-এর হারুন রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইমাম আলী (আ.) কে বলেনঃ
أنْتَ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ هَارُونَ مِنْ
مُوسَي إِلَّا أَنَّهُ لَا نَبِيَّ بَعْدي.
আমার নিকট তুমি মুসার কাছে হারুনের
ন্যায়। শুধু আমার পরে কোনো নবী নেই।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৪১/৩৭৩০,মাসাবিহুস্ সুন্নাহ ৪:১৭০/৪৭৬২,সহীহ মুসলিম
৪:৪৪/৩০)
২০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أَبْشِرْ يَا عَلِيُّ، حَيَاتُكَ مَعِي وَ
مَوتُك مَعِي.
হে আলী! সুসংবাদ তোমার ওপর। তোমার
জীবন আমার সাথে আর তোমার মরণও আমার সাথে।
(ইমাম আলী (আ.)-ইবনে আসাকির ২:৪৩৫,৯৪৭,মাজমাউয যাওয়াযেদ ৯:১১২,কানযুল উম্মাল ১৩:
১৪৪/৩৬৪৫৩)
২১. সর্বপ্রথম নামাযী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أََوَّلُ مَنْ صَلَّي مَعِي عَلِيٌّ.
সর্বপ্রথম আমার সাথে যে নামায পড়েছে
সে হলো আলী।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯২,আল ফেরদৌস ১:২৭/৩৯)
২২. শ্রেষ্ঠতম পুরুষ রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
خَيْرُ رِجَالِكُمْ عَلِيُّ بْنُ أَبِي
طَالِبٍ.
আলী ইবনে আবি তালিব তোমাদের মধ্যে
শ্রেষ্ঠতম পুরুষ।
(তারীখে বাগদাদ ৪:৩৯২,মুন্তাখাবু কানযুল উম্মাল ৫:৯৩)
২৩. উম্মতের পিতা রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
حَقُّ عَلِيٍّ عَلَي الْمُسْلِمِينَ حَقُّ
الوَالِدِ عَلَي الْوَلَدِ.
মুসলমানদের ওপর আলীর অধিকার,সন্তানের ওপর পিতার
অধিকারের ন্যায়।
(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৩০,ইমাম আলী– ইবনে আসাকির
২:২৭২/৭৯৮-৭৯৯)
২৪. ইবাদতের সারসত্য রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
ذِكْرُ عَلِيٍّ عِبَادَةٌ.
আলীকে স্মরণ করা ইবাদততুল্য।
(কানযুল উম্মাল ১১,৬০১/৩২৮৯৪,আল ফেরদৌস ২:২৪৪/৩১৫১,ওসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ: ৫ আল কাসাম
২:১৬৮)
২৫. মজলিসের সৌন্দর্য রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
زَيِّنُوا مَجَالِسَكُمْ بِذِكْرِ عَلِيٍّ.
তোমাদের মজলিসগুলোকে আলীর নাম
উচ্চারণের মাধ্যমে সৌন্দর্যমণ্ডিত করো।
(আল মানাকিব– ইবনুল মাগাযেলী : ২১১/২৫৫)
২৬. সর্বদা সত্যের সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
رَحِمَ اللهُ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ
أَدِرِ الْحَقَّ مَعَهُ حَيْثُ دَارَ.
আল্লাহ আলীর ওপর রহমত বর্ষণ করুন! হে
আল্লাহ! আলী যেখানেই আছে সত্যকে তার সাথে ঘোরাও।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৪,ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির,৩:১৫১/১১৬৯-১১৭০)
২৭. রাসূলুললাহ (সা.)-এর গোপন রহস্যের
আধার রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
صَاحِبُ سِرِّي عَلِيُّ ابْنُ أَبِي طَالِبٍ.
আলী আমার গোপন রহস্যকথার একমাত্র আধার
(আল ফেরদৌস ২:৪০৩/৩৭৯৩,আল ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির
২:৩১১/৮২২)
২৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জ্ঞানের
ভাণ্ডার রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ خَازِنُ عِلْمِي.
আলী আমার জ্ঞানের ভাণ্ডার।
(শারহে নাহজুল বালাগা– ইবনে আবিল হাদীদ ৯:১৬৫)
২৯. সৃষ্টিকুলের শ্রেষ্ঠ রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَرِيَّةِ.
আলী সৃষ্টিকুলের সেরা।
(আল ইমাম আলী (আ.)–
ইবনে আসাকির ২:৪৪৩/৯৫৯,মানাকিবে খারেযমী :
৬২)
৩০. মানুষের মধ্যে শ্রেষ্ঠ রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ خَيْرُ الْبَشَرِ، مَنْ أَبَي
فَقَدْ كَفَرَ.
আলী সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ,যে তা মানবে না সে
নিঃসন্দেহে কাফের।
(সিয়ারু আ’ লামুন নুবালা ৮:২৫০,ইমাম আলী (আ.)-ইবনে আসাকির
২:৪৪৪/৯৬২-৯৬৬,তারীখে বাগদাদ ৭:৪২১)
৩১. জ্ঞানের আধার
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ عَيْبَةُ عِلْمِي.
আলী আমার জ্ঞানের আধার।
(আল জামেউস্ সাগীর ২:১৭৭,শারহে নাহজুল বালাগা– ইবনে আবিল হাদীদ
৯:১৬৫)
৩২. সর্বদা কুরআনের সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ مَعَ الْقُرْآنِ وَ
الْقُرْآنُ مَعَ عَلِيٍّ.
আলী কুরআনের সাথে আর কুরআন আলীর সাথে।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১২)
৩৩. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নিকটে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ مِنِّي بِمَنْزِلَةِ رَأسِي مِنْ
بَدَني.
আমার নিকটে আলী আমার শরীরে যুক্ত আমার
মাথার ন্যায়।
(তারীখে বাগদাদ ৭:১২,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৩/৩২৯১৪)
৩৪. আল্লাহর নিকটে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ مِنِّيكَمَنْزِلَتِي مِنْ رَبِّي.
আমার নিকটে আলীর মর্যাদা হলো যেমন
আমার প্রতিপালকের নিকটে আমার মর্যাদা।
(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা :১৭৭,যাখায়িরুল উক্বা : ৬৪)
৩৫. কেয়ামতের দিন বিজয়ী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ وَ شِيعَتُهُ هُمُ الْفَائِزُونَ
يَوْمَ الْقِيَامَةِ.
আলী এবং তাঁর অনুসারীরা নিঃসন্দেহে
কেয়ামতের দিন বিজয়ী।
(আল ফেরদৌস ৩:৬১/৪১৭২,ওয়াসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ:৫,আল কিসম ২:১৭০)
৩৬. বেহেশতের তারকা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ يَزْهَرُ فِي الْجَنَّةِ
كَكَوْكَبِ الصُّبْحِ لِأَهْلِ الدُّنْيَا.
আলী বেহেশতের মধ্যে দুনিয়াবাসীর জন্য
ভোরের তারকার ন্যায় উজ্জ্বল।
(আল ফেরদৌস ৩:৬৩/৪১৭৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬০৪/৩২৯১৭)
৩৭. তাকে কষ্ট দিও না রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
مَنْ آذَي عَلِيّاً فَقَدْ آذَانِي.
যে ব্যক্তি আলীকে কষ্ট দেয় সে আমাকে
কষ্ট দেয়।
(মুসনাদে আহমাদ ৩:৪৮৩,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২২,দালায়িলুন
নব্যুওয়াত ৫:৩৯৫,আল ইহ্সান- ইবনে হাববান ৯:৩৯/৬৮৮৪)
৩৮. আল্লাহর অস্তিত্বে মিশে আছে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
لَاتَسُبُّوا عَلِيّاً، فَإِنَّهُ
مَمْسُوسٌ فِي ذَاتِ اللهِ.
তোমরা আলীকে গালমন্দ করো না। সে
আল্লাহর সত্তায় মিশে গেছে্
(আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ১৯:১৪৮/৩২৪,হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৮,কানযুল উম্মাল
১১:৬২১/৩৩০১৭)
৩৯. মুনাফিকরা তাঁকে ভালোবাসে না রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
لَا يُحِبُّ عَلِيّاً مُنَافِقٌ، وَ لاَ
يُبْغِضُهُ مُؤمِنٌ.
মুনাফিকরা আলীকে ভালোবাসে না,আর মুমিন তাঁকে
ঘৃণা করে না।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৫/৩৭১৭,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৮৯)
৪০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর হক (অধিকার)
পূরণকারী রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ مِنِّي وَ أَنَامِنْ عَلِيٍّ،
وَلَا يُؤَدِّي عَنِّي إِلَّا أَنَا أَوْ عَلِيٌّ.
আলী আমা থেকে আর আমি আলী থেকে,আমি আর আলী ব্যতীত
কেউই আমার (রেসালাতের) অধিকার পূরণ করেনি।
(মাসাবিহুস সুন্নাহ ৪:১৭২/৪৭৬৮,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৯,মুসনাদে আহমাদ
৪:১৬৪)
৪১. মুসলমানদের সরদার রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ سَيِّدُ الْمُسْلِمِينَ، وَ
إِمَامُ الْمُتَّقِينَ، وَ قَائِدُ الْغُرِّ الْمُحَجَّلِينَ.
আলী মুসলমানদের সরদার,পরহেযগারদের নেতা
এবং সফলকামদের পথ প্রদর্শক।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৮,আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ১০৪/১৪৬)
৪২. নাজাত দানকারী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
حُبُّ عَلِيٍّ بَرَاءَةٌ مِنَ النَّارِ.
আলীর প্রতি ভালোবাসা আগুন থেকে
মুক্তির কারণ।
(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৩)
৪৩. ঈমানে সর্বাপেক্ষা অবিচল রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ الصِّدِّيقُ الْاَكْبَرُ، وَ
فَارُوقُ هَذِهِ الْاُمَّةِ، وَ يَعْسُوبُ الْمُؤْمِنِينَ.
আলী ঈমানে সর্বাপেক্ষা দৃঢ়পদ,উম্মতের মধ্যে হক ও
বাতিলে পার্থক্যকারী আর মুমিনদের কর্তা।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৬/৩২৯৯০,আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ৬:২৬৯/৬১৮৪)
৪৪. তাঁকে অভিসম্পাত করো না রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
مَنْ سَبَّ عَلِيّاً فَقَدْ سَبَّنِي.
যে ব্যক্তি আলীকে গালমন্দ করে সে যেন
আমাকেই গালি দিল।
(মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক– ইবনে মাঞ্জুর ১৭:৩৬৬,ফাযায়েলুস সাহাবা
২:৫৯৪/১০১১,খাসায়েসে নাসায়ী :২৪,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২১,মানাকিবে খারেযমী :
৮২)
৪৫. আল্লাহর রাস্তায় কঠোরতা রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
أَيُّهَا النَّاسُ، لَا تَشْكُوا
عَلِيّاً، فَو اللهِ إِنَّهُ لَأَخْشَنُ فِيذَاتِاللهِ، أَوْ فِي سَبِيلِ اللهِ.
হে লোকসকল! আলীর বিরুদ্ধে নালিশ করতে
যেও না। সে আল্লাহর কারণে অথবা তাঁর সন্তুষ্টির জন্যেই কঠোর হয়।
(মুসনাদে আহমাদ ৩:৮৬,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৪)
৪৬. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর নজির রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
مَا مِنْ نَبِيٍّ إِلَّا وَ لَهُ نَظِيرٌ
فِي اُمَّتِهِ وَ عَلِيٌّ نَظِيرِي.
এমন কোনো নবী নেই যার উম্মতের মধ্যে
তাঁর দৃষ্টান্ত কেউ ছিল না। আর আমার দৃষ্টান্ত হলো আলী ইবনে আবি তালিব।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১২০,যাখায়েরুল উকবা: ৬৪)
৪৭. পাপ ধ্বংসকারী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ
يَأْكُلُ الذُّنُوبَ كَمَا تَأْكُلُ النَّارُ الْحَطَبَ.
আলী ইবনে আবি তালিবের ভালোবাসা
পাপসমূহকে খেয়ে ফেলে যেভাবে আগুন কাঠকে খেয়ে ফেলে।
(আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩: ১৯০,কানযুল উম্মাল ১১:৬২১/৩৩০২১,আল ফেরদৌস
২:১৪২/২৭২৩)
৪৮. অন্তরসমূহের কা’ বা স্বরূপ রাসূলুল্লাহ (সা.)
ইমাম আলী (আ.) কে বলেনঃ
أَنْتَ بِمَنْزِلَةِ الْكَعْبَةِ تُؤْتَي
وَ لَاتَأتِي.
তুমি কা’ বার ন্যায়। সবাই
তোমার কাছে আসে কিন্তু তুমি কারো কাছে যাও না।
(উসুদুল গবাহ ৩১৪৬)
৪৯. তার দিকে তাকাও রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
َالنَّظَرُ إِلَي وَجْهِ عَلِيٍّ
عِبَادَةٌ.
আলীর মুখের দিকে তাকানো ইবাদত।
(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২০৬/২৪৪-২৪৬ ও ২০৯/২৪৮-২৪৯ ও
২১০/২৫২-২৫৩,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৪২,আর রিয়াদুন্ নাদরাহ ৩:১৯৭)
৫০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর ওয়াসী রাসূলুল্লাহ (সা.)
হযরত আলীর প্রতি ইঙ্গিত করে বলেনঃ
هَذَا أَخِي وَ وَصِيِّي وَ خَلِيفَتِي
مِنْ بَعْدِي، فَاسْمَعُوا لَهُ وَ أَطِيعُوه.
এ হলো আমার ভাই,আর আমার পরে আমার
ওয়াসী এবং খলীফা। তার নির্দেশের প্রতি কর্ণপাত করো এবং তার আনুগত্য করো।
(তারীখে তাবারী ২:৩৩১,মাআলিমুত তানযীল ৪:২৭৯,আল কামিল ফিত তারীখ
২:৬৩,শারহে নাহজুল বালাগা– ইবনে আবিল হাদীদ ১৩:২১১,কানযুল উম্মাল
১৩:১৩১)
৫১. ফেরেশতাকুলের দরূদ রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
إنَّ الْمَلَائِِكَةَ صَلَّتْ عَلَيَّ و
عَلَي عَلِيٍّ سَبعَ سِنِيْنَ قَبْلَ أَنْ يُسْلِمَ بَشَرٌ.
কোনো মানুষ মুসলমান হওয়ার সাত বছর
পূর্ব থেকেই ফেরেশতারা আমার এবং আলীর ওপর দরূদ পাঠাতো।
(কানযুল উম্মাল ১১: ৬১৬/৩২৯৮৯,মুখতাসারু তারীখে দামেস্ক -ইবনে
মাঞ্জুর ১৭:৩০৫)
৫২. ঈমানের মানদণ্ড রাসূলুল্লাহ (সা.)
আলী (আ.) কে বলেনঃ
لَوْلَاكَ مَا عُرِفَ الْمُؤمِنُونَ مِنْ
بَعْدِي.
যদি তুমি না থাকতে তাহলে আমার পরে
মুমিনদের শনাক্ত করা যেত না।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৭৩,আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী :৭০/১০১,কানযুল উম্মাল ১৩
:১৫২/৩৬৪৭৭)
৫৩. সর্বদা সত্যের সাথে রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ مَعَ الْحَقِّ وَ
الْحَقُّ مَعَ عَلِيٍّ، لَنْ يَفْتَرِقَا حَتَّي يَرِدَا عَلَيَّ الْحَوضِ يَوْمَ
الْقِيَامَةِ.
আলী সত্যের সাথে আর সত্য আলীর সাথে,এই দুটো কখনো একে
অপর থেকে বিচ্ছিন্ন হবে না যতক্ষণ না কেয়ামতের দিন হাউজে কাওসারে আমার সাথে মিলিত
হবে।
(তারীখে বাগদাদ ১৪:৩২১,ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির
৩:১৫৩/১১৭২)
৫৪. তাঁর থেকে পৃথক হয়ো না! রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
مَنْ فَارَقَ عَلِيّاً فَقَدْ فَارَقَنِي
وَ مَنْ فَارَقَنِي فَقَدْ فَارَقَ اللهَ عَزَّوَجَلَّ.
যে ব্যক্তি আলী থেকে পৃথক হয় সে আমা
থেকে পৃথক হলো আর যে আমা থেকে পৃথক হলো সে মহান আল্লাহ থেকে পৃথক হয়ে গেল।
(আল মানাকিব- ইবনে মাগাযেলী ২৪০/২৮৭,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৪,আল মু’ জামুল কাবীর-
তাবারানী ১২:৩২৩/১৩৫৫৯)
৫৫. মহানবী (সা.)-এর জ্ঞানের দরওয়াযা রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
عَلِيٌّ بَابُ عِلْمِي، وَ مُبَيِّنُ
لِاُمَّتِي مَا اُرْسِلْتُ بِهِ مِنْ بَعْديِ، حُبُّهُ اِيمَانٌ، و بُغْضُُهُ
نِفَاقٌ وَ النَّظَرُ اِلَيْهِ رَأْفَةٌ.
আলী আমার জ্ঞানের দরওয়াযা। সে আমার
পরে আমার রেসালাতকে আমার উম্মতের জন্যে ব্যাখ্যা করবে। তাকে ভালোবাসা ঈমানের
পরিচায়ক,তাকে ঘৃণা করা মুনাফিকের পরিচায়ক এবং তার দিকে তাকানো প্রশান্তির
কারণ।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬১৪/৩২৯৮১,আল ফেরদৌস ৩:৬৫/৪১৮১)
৫৬. আল্লাহর গোপন রহস্য ব্যক্তকারী
জাবের বলেনঃ তায়েফের দিন রাসূলুল্লাহ
(সা.) হযরত আলীকে কাছে ডাকলেন। তাঁকে একপাশে নিয়ে কানে কানে যুক্তি করলেন। লোকজন
বললো,‘‘ তাঁর চাচাতো ভাইয়ের সাথে যুক্তি করা কতো দীর্ঘায়িত হলো!’’ রাসূলুল্লাহ (সা.)
বললেন :
مَا اَنْتَجَيْتُهُ ، وَلَكِنْ اللهَ
انْتَجَاهُ.
আমি তাঁর সাথে যুক্তি করিনি,বরং আল্লাহ তাঁর
সাথে যুক্তি করেছেন।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৭০,সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৯/৩৭২৬,খাসায়েসে নাসায়ী :৫,ফাযায়েলূস সাহাবা ২:৫৬০/৯৪৫,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩০-১৩২)
৫৭. মুমিনদের মাওলা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
مَنْ كُنْتُ مَوْلَاهُ فَعَلِيٌّ
مَوْلَاهُ، اَللَّهُمَّ وَالِ مَنْ وَالَاهُ وَعَاِد مَنْ عَادَاهُ.
আমি যার মাওলা আলীও তার মাওলা। হে
আল্লাহ! যে আলীকে ভালোবাসে তুমি তাকে ভালোবাস আর যে আলীর সাথে শত্রুতা করে তুমি
তার সাথে শত্রুতা করো।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬০৯/৩২৯৫০,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১০৯,মাজমাউয যাওয়ায়েদ
৯:১০৪,আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ৪:১৭৩/৪০৫৩,তিরমিযী ৫:৬৩৩/৩৭১৩,মুসনাদে আহমাদ ১:৮৪,৮৮,১১৯,১৫২,৩৩১ ও ৪:২৮১,৩৬৮,৩৭০,৩৭২ ও ৫:৩৪৭,৩৫৮,৩৬১,৩৬৬,৪১৯)
৫৮. তোমার জন্য সেটাই চাই! রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
يَا عَلِيُّ! إِنِّي اُحِبُّ لَكَ مَا
اُحِبُّ لِنَفْسِي، وَ أَكْرَهُ لَكَ مَا أَكْرَهُ لِنَفْسِي.
হে আলী! আমি নিজের জন্যে যা পছন্দ করি
তোমার জন্য সেটাই পছন্দ করি। আর আমার চোখে যা অপছন্দনীয় তোমার জন্যও সেটা অপছন্দ
করি।
(মুসনাদে আহমাদ ১:১৪৬,সুনানে তিরমিযী ২:৭২/২৮২,আল মুনাতাখাবু মিন
মুসনাদে আব্দু ইবনে হামীদ :৫২/৬৭)
৫৯. বেহেশত-দোযখের বণ্টনকারী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
يَا عَلِيُّ، إِنَّكَ قَسِيمُ الْجَنَّةِ
وَ النَّارِ وَ إِنَّكَ تَقْرَعُ بَابَ الْجَنَّةِ، فَتَدْخُلَهَا بِلَا حِسَابٍ.
হে আলী! তুমি (মানুষকে) বেহেশত ও
দোযখের (মধ্যে) বণ্টনকারী। অতঃপর তুমি নিজে বেহেশতের দরওয়াযায় টোকা দিবে এবং হিসাব
ছাড়াই প্রবেশ করবে।
(আল মানাকিব- ইবনুল মাগাযেলী ৬৭/৯৭,আল মানাকিব-খারেযমী : ২০৯,ফারায়িদুস সামতাঈন
১:৩২৫/২৫৩)
৬০. তোমাকে যারা ভালোবাসে তাদের প্রতি
সুসংবাদ রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
يا عَلِيّ، طُوبَي لِمَنْ أَحَبَّكَ وَ
صَدَّقَ فِيكَ وَ وَيْلٌ لِمَنْ أَبْغَضَكَ وَ كَذَّبَ فِيكَ.
হে আলী! সুসংবাদ তার প্রতি যে তোমাকে
ভালোবাসে এবং তোমাকে সত্য বলে জানে। আর দুর্ভাগ্য তাদের প্রতি যারা তোমার সাথে
শত্রুতা করে এবং তোমার ব্যাপারে মিথ্যা আরোপ করে।
(তারীখে বাগদাদ ৯:৭২,ওয়াসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ:৫,আল কিসম ২:১৬১,উসুদুল গবাহ ৪:২৩)
৬১. ওয়াসিগণের মধ্যে সর্বোত্তম রাসূলুল্লাহ (সা.)
হযরত ফাতিমাকে বলেনঃ
وَصِيِّي خَيْرُ الْأَوْصِيَاءِ، وَ
أَحَبُّهُمْ إِلَي اللهِ عَزَّ وَجَلَّ وَ هُوَ بَعْلُكَ.
ওয়াসিগণের মধ্যে আমার ওয়াসীই
সর্বোত্তম এবং আল্লাহর নিকটে তাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়তম। আর সে হলো তোমার স্বামী।
(মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৬৫,যাখায়িরুল উকবা :১৩৬)
৬২. মহানবী (সা.)-এর ভাই ও সহযোগী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
اَللَّهُمَّ إنِّيأَقُولُكَمَاقَالَأَخِيمُوسَي:
اَللَّهُمَّ اجْعَلْ لِيوَزِيراً مِنْ أَهْلِيأَخِيعَلِيّاً اُشْدُدْ بِهِ
أزْرِي وَ أَشْرِكْهُ فِيأَمْرِي كَيْ نُسَبِّحَكَ كَثِيراً وَ نَذْكُرَكَ
كَثيراً، إِنَّكَ كُنْتَ بِنَا بَصِيراً.
হে আল্লাহ! আমিও আমার ভাই মুসার মতো
বলছি,‘‘ হে খোদা! আমার জন্য আমার পরিবারের মধ্যে থেকে কাউকে সাহায্যকারী
হিসেবে নিয়োগ করো। আমার ভাই আলীকে যার দ্বারা আমার শক্তি মজবুত হয় এবং আমাকে
সাহায্য করে। যাতে তোমার মহিমা বর্ণনা করতে সক্ষম হই এবং তোমার অধিক ইবাদতে নিমগ্ন
হতে পারি । অবশ্য তুমি আমাদের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধকারী।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১১৮,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৭৮/১১৫)
৬৩. নিরাপত্তা এবং ঈমান রাসূলুল্লাহ (সা.)
হযরত আলী (আ.) কে বলেনঃ
مَنْ أَحَبَّكَ حُفَّ بِالاَمْنِ وَ
الْإِيمَانِ، وَ مَنْ أَبْغَضَكَ أَمَاتَهُ اللهُ مِيْتَةَ الْجَاهِلِيَّةِ.
যে ব্যক্তি তোমাকে ভালোবাসবে,নিরাপত্তা ও ঈমান
তাকে আবিষ্ট করবে। আর যে তোমার প্রতি শত্রুতা করবে আল্লাহ তাকে জাহেলিয়াতের মৃত্যু
দান করবেন।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬০৭/৩২৯৩৫,আল মু’ জামুল কাবীর-তাবারানী ১১:৬৩/১১০৯২)
৬৪. সীরাতুল মুস্তাকীম পার হওয়ার
অনুমতি রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেনঃ
إِذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ وَ
نُصِبَ الصِّرَاطُ عَلَي شَفِيرِ جَهَنَّم لَمْ يَجُزْ إلاَّ مَنْ مَعَهُ كِتَابُ
عَلِيّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ.
যখন কেয়ামত উপস্থিত হবে এবং
জাহান্নামের অগ্নিপার্শ্বে পুলসিরাত টাঙ্গানো হবে তখন শুধু কেবল যার সঙ্গে আলী
(আ.)-এর পত্র থাকবে সে ছাড়া কারো তা পার হবার অনুমতি থাকবে না।
(আল মানাকিব-ইবনুল মাগাযেলী ২৪২,২৮৯,ফারায়িদুস সামতাইন ১:২২৮,২৮৯)
৬৫. আলী (আ.)-এর সহচরদের জন্য দোয়া রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
اَللّهُمَّ انْصُرْ مَنْ نَصَرَ عَلِيّاً،
اَللَّهُمَّ أَكْرِمْ مَنْ أَكْرَمَ عَلِيّاً ، اَللَّهُمَّ أخْذُلْ مَنْ خَذَلَ
عَلِيّاً.
হে আল্লাহ! যে ব্যক্তি আলীকে সাহায্য
করে তুমি তাকে সাহায্য করো,যে ব্যক্তি তাকে সম্মান করে তুমি তাকে সম্মান করো আর যে তাকে
লাঞ্ছিত করে তুমি তাকে লাঞ্ছিত করো।
(কানযুল উম্মাল ১১:৬২৩/৩৩০৩৩,আল মু’ জামুল কাবীর– তাবারানী ১৭:৩৯,৮২)
৬৬. আল্লাহর সবচেয়ে প্রিয় বান্দা আনাস ইবনে মালেক
বলেন,রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জন্য মুরগীর গোশত দ্বারা খাবার প্রস্ত্তত করা
হয়েছিল। হুজুর (সা.) বললেনঃ
اَللَّهُمَّ ائْتِنِي بِاَحَبِّ خَلْقِكَ
إِلَيْكَ يَأْكُلُ مَعِي هَذَا الطَّيْرَ، فَجَاءَ عَلِيٌّ فَأَكَلَ مَعَهُ.
হে আল্লাহ! তোমার সবচেয়ে প্রিয়
বান্দাকে পৌঁছে দাও যে আমার সাথে এই মুরগীর গোশত ভক্ষণে অংশ নেবে। এমন সময় আলী এসে
পৌঁছলেন এবং হুজুরের দস্তরখানায় বসে পড়লেন।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭২১,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৫৬০/৯৪৫,খাসায়েসে নাসায়ী :
৫,আল মুস্তাদরাক–
হাকেম ৩:১৩০-১৩২)
৬৭. হেদায়াতের পতাকা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
إِنَّ رَبَّ الْعَالَمِيْنَ عَهِدَ
إِلَيَّ عَهْداً فِي عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ ، فَقَالَ: إنَّهُ رَايَةُ
الْهُدَي، وَ مَنارُ الْاِيْمَانِ، وَ اِمَامُ أَوْلِيَائِي، وَ نُورُ جَمِيعِ
مَنْ أَطَاعَنِي.
বিশ্ব প্রতিপালক আলীর ব্যাপারে আমার
সাথে কঠিনভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয়েছেন। অতঃপর আমাকে বলেছেন: নিশ্চয় আলী হলো
হেদায়েতের পতাকা,ঈমানের শীর্ষচূড়া,আমার বন্ধুগণের নেতা আর আমার আনুগত্যকারী সকলের জ্যোতিস্বরূপ।
(হিল্লিয়াতুল আউলিয়া ১:৬৬,শারহে নাহজুল বালাগা– ইবনে আবীল হাদীদ
৯:১৬৮)
৬৮. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর উত্তরসূরি রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
لِكُلِّ نَبِيٍّ وَصِيٌّ وَ وَارِثٌ، وَ
إَِنَّ عَلِيّاً وَصِيِّي وَ وَارِثِي.
প্রত্যেক নবীর ওয়াসী এবং উত্তরসূরি
থাকে। আর আমার ওয়াসী এবং উত্তরসূরি হলো আলী।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩৮,আল ফেরদৌস ৩:৩৩৬/৫০০৯,ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির ৩:
৫/১০৩০-১০৩১)
৬৯. সত্যিকারের সৌভাগ্য রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
إنَّ السَّعِيدَ كُلَّ السَّعِيدِ، حَقَّ
السَّعِيدِ، مَنْ أحَبَّ عَلِيّاً فِي حَيَاتِهِ وَ بَعْدَ مَوتِهِ.
নিশ্চয় সবচেয়ে সৌভাগ্যবান এবং সত্যিকারের
সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি যে আলীকে তার জীবদ্দশায় এবং তার মৃত্যুর পরে ভালোবাসে।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯১,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬৫৮/১১২১,আল মু’ জামুল
কাবীর-তাবারানী ২২: ৪১৫/১০২৬,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯:১৩২)
৭০. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর সাহায্যকারী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
لَمَّا عُرِجَ بِي رَأَيْتُ عَلَي سَاقِ
الْعَرْشِ مَكْتُوباً: لَا إِِلَهَ إِِلَّا اللهُ، مُحَمَّدٌرَسُولُ اللهِ،
أَيَّدْتُهُ بِعَلِيٍّ، نَصَرْتُهُ بِعَلِيٍّّ.
যখন আমাকে মি’ রাজে নিয়ে যাওয়া হয়
তখন আরশের পায়ায় দেখলাম লেখা রয়েছে‘‘ আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই,মুহাম্মদ আল্লাহর
প্রেরিত পুরুষ। আমি তাকে আলীকে দ্বারা শক্তিশালী করেছি এবং আলীকে তার সাহায্যকারী
করে দিয়েছি।
(তারীখে বাগদাদ ১১:১৭৩,ওয়াসীলাতুল মুতাআব্বেদীন খ:৫ আল কিসম
২:১৬৩,আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৩১,যাখায়েরুল উকবা : ৬৯)
৭১. শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
لَمُبارِزَةُ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ
لِعَمْرِو بْنِ عَبدوُدٍّ يَوْمَ الْخَنْدَقِ، أَفْضَلُ مِنْ عَمَلِ اُمَّتِي
إِلَي يَوْمِ الْقِيَامَةِ.
খন্দকের যুদ্ধে আমর ইবনে আবদুউদ্দের
বিরুদ্ধে আলী ইবনে আবি তালিবের যুদ্ধ নিঃসন্দেহে কেয়ামত পর্যন্ত আমার উম্মতের
সমুদয় কর্মের চাইতে অধিক মূল্যবান।
(তারীখে বাগদাদ ১৩:১৯,আল মানাকিব-খারেযমী ১০৭/১১২)
৭২. জাহান্নাম সৃষ্টি হতো না যদি রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
لَوِ اجْتَمَعَ النَّاسُ عَلي حُبِّ
عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، لَمَا خَلَقَ اللهُ تَعَالَي النَّارَ.
যদি মানুষ আলী ইবনে আবি তালিবের
ভালোবাসায় একমত হতো তাহলে মহান আল্লাহ কখনো জাহান্নামকে সৃষ্টি করতেন না।
(আল ফেরদৌস ৩:৩৭৩/১৩৫,আল মানাকিব-খারেযমী ৬৭/৩৯,মাকতালুল হুসাইন
(আ.)-খারেযমী ১:৩৮)
৭৩. সর্বোত্তম মুমিন রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
لَوْ أَََنَّ السَّمَاوَاتِ وَ الاَرْضَ
وُضِعَتَا فِي كَفَّةٍ وَ إِيماَنُ عَلِيٍّ فِي كَفَّةٍ، لَرَجَحَ إيمَانُ عَلِیٍّ.
যদি আসমানসমূহ এবং জমিনকে
দাঁড়িপাল্লার একপাশে আর আলীর ঈমানকে আরেক পাশে রাখা হয় তাহলে আলীর ঈমানের পাল্লা
ভারী হবে।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:২০৬,আল ফেরদৌস ৩:৩৬৩/৫১০০,ইমাম আলী (আ.)– ইবনে আসাকির ২:
৩৬৪/৮৭১ ও ৩৬৫/৮৭২,আল মানাকিব-খারেযমী : ৭৭-৭৮)
৭৪. তার গুণাবলীর উপকারিতা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
مَا اكْتَسَبَ مُكْتَسَبٌ مِثْلَ فَضْلِ
عَلِيٍّ، يَهْدِي صَاحِبَهُ إِلَي الْهُدَي، وَ يَرُدُّ عَنِ الرَّدَي.
আলীর ন্যায় গুণাবলী অর্জনের মতো আর
কোনো অর্জন অধিক উপকারী নয়। কারণ,তার অধিকারীকে হেদায়েতের পথে পরিচালিত করে এবং নীচ ও হীনতা থেকে
দূরে রাখে।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৮৯,যাখায়িরুল উকবা :৬১)
৭৫. প্রতিপালকের প্রিয়তম রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
إِنَّ اللهَ أَمَرَنِي بِحُبِّ
أَرْبِعَةٍ، وَ أَخْبَرَنِي أَنَّهُ يُحِبُّهُمْ. قِيلَ، يَا رَسُولَ اللهِ،
سَمِّهِمْ لَنَا. قَالَ: عَلِيٌّ مِنْهُمْ، يَقُولُ ذَلِكَ ثَلَاثاً.
এমন চার ব্যক্তি যারা আল্লাহর কাছে
প্রিয় মহান আল্লাহ আমাকে সে চারজনকে ভালোবাসতে নির্দেশ দিয়েছেন।
বলা হলো,হে রাসূলুল্লাহ
(সা.)! তাদের নামগুলো আমাদের জন্য বলুন। তিনি তিন বার বললেন,আলী তাদের মধ্যে।
(সুনানে তিরমিযী ৫:৬৩৬/৩৭১৮,সুনানে ইবনে মাজাহ ১:৫৩/১৪৯,মুসনাদে আহমাদ
৫:৩৫১,আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩০)
৭৬. সর্বপ্রথম মুসলমান রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
أََوَّلُكُمْ وُرُوداً فِي الْحَوْضِ
أََوَّلُكُمْ إِِسْلَاماً عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.
তোমাদের মধ্যে সবার আগে হাউজে কাওসারে
প্রবেশ করবে সেই ব্যক্তি যে সবার আগে ইসলাম গ্রহণ করেছে। আর সে হলো আলী ইবনে আবি
তালিব।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১৩৬,আল ইস্তিয়াব ৩:২৭,২৮,উসুদুল গাবাহ ৪:১৮,তারীখে বাগদাদ
২:৮১)
৭৭. ফাতেমা (আ.)-এর জন্য সর্বোত্তম
স্বামী রাসূলুল্লাহ (সা.) হযরত ফাতিমাকে বলেনঃ
زَوَّجْتُكِ خَيْرَ أَهْلِي، أَعْلَمَهُمْ
عِلْماً، وَ أَفْضَلَهُمْ حِلْماً، و أوَّلَهُمْ سِلْماً.
তোমাকে আমার পরিবারের সবচেয়ে উত্তম
ব্যক্তির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করেছি। সে জ্ঞান-বিদ্যায়,ধৈর্য-সহিষ্ণুতায় ও
ইসলাম গ্রহণে সবাইকে পিছে ফেলে এগিয়ে গেছে।
(মানাকিবে খারেযমী ৬৩: নাযমু দুরারিস সামতাঈন : ১২৮,কানযুল উম্মাল
১১:৬০৫/৩২৯২৬)
৭৮. সত্যের অগ্রদূত রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
اَلسُّبْقُ ثَلَاثَةٌ: اَلسَّابِقُ إِلَي
مُوْسَي يُوشَعُ بنُ نُون، وَ السَّابِقُ إِلَي عِيسَي صَاحِبُ يس، وَ السَّابِقُ
إِلَي مُحَمَّدٍ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ.
সত্যের অগ্রদূত তিনজন : মুসাকে মেনে
নেওয়ার বেলায় ইউশা’ ইবনে নুন,ঈসাকে মেনে নেওয়ার বেলায় ইয়া সীনের মালিক আর মুহাম্মদের সাথে যোগ
দেওয়ার ক্ষেত্রে আলী ইবনে আবি তালিব।
(আস সাওয়ায়িকুল মুহরিকা ১২৫,মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৯: ১০২,যাখায়িরুল উকবা :৫৮,আল মু’ জামুল
কাবীর-তাবারানী ১১:৭৭/১১১৫২)
৭৯. সর্বশ্রেষ্ঠ সত্যবাদী রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
اَلصِّدِّيقُونَ ثَلَاثَةٌ: مُؤْمِنُ آلِ
يس، وَ مُؤْمِنُ آلِ فِرْعَوْنَ، وَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ وَ هُوَ
أَفْضَلُهُمْ.
প্রকৃত সত্যবাদী তিনজন : আলে ইয়াসীনের
মুমিন,আলে ফেরআউনের মুমিন আর আলী ইবনে আবি তালিব,আর সে হলো তাদের
মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
(কানযুল উম্মাল ১;৬০১/৩২৮৯৮,ফাযায়িলুস সাহাবা ২:৬২৮/১০৭২,আল ফেরদৌস ২:৪২১/৩৮৬৬)
[উল্লেখ্য,আলে ইয়াসীনের মুমিন হলো হাবীব নায্যার (ইয়াসীন : ২০),আর আলে ফেরআউনের
মুমিন হলো হেযকিল (গাফির : ২৮)]
৮০. সতকর্মশীলদের নেতা রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
عَلِيٌّ أَمِيرُ الْبَرَرَةِ، وَ قَاتِلُ
الْفَجَرةِ، مَنْصُورٌ مَنْ نَصَرَهُ، مَخْذُولٌ مَنْ خَذَلَهُ.
আলী সতকর্মশীলদের নেতা আর
ব্যভিচারীদের হন্তা। যে কেউ তাকে সাহায্য করে সে সাহায্য প্রাপ্ত হয় আর যে ব্যক্তি
তাকে ত্যাগ করে সে বিফল হয়।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৯,কানযুল উম্মাল ১১:৬০২/৩২৯০৯,আস-সাওয়ায়েকুল
মুহরিকা :১২৫,আল ইমাম আলী (আ.)-ইবনে আসাকির ২:৪৭৬/১০০৩ ও ৪৭৮/১০০৫)
৮১. রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর জীবন ও মরণ রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
مَنْ أَحَبَّأَنْ يَحْيَاحَيَاتِيوَيَمُوتَ
مَوْتِيفَلْيَتَولَّ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ.
যে ব্যক্তি আমার মতো জীবন যাপন করতে
এবং আমার মতো মৃত্যুবরণ করতে পছন্দ করে সে যেন আলী ইবনে আবি তালিবের বেলায়েতকে
মেনে চলে।
(আল মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৮,কানযুল উম্মাল ১১:৬১১/৩২৯৫৯)
৮২. ঈসা (আ.)-এর ন্যায় রাসূলুল্লাহ (সা.)
হযরত আলীকে বলেনঃ
فِيكَ مَثَلٌ مِنْ عِيسَي(ع)،
أَبْغَضَتْهُ الْيَهُودُ حَتَّي بَهَتُوا أُمَّهُ، وَ أََحَبَّتْهُ النَّصَارَي
حَتَّي أَنْزَلُوهُ بِالْمَنْزِلَةِ الَّتِي لَيْسَ فِيهَا.
তুমি ঈসা (আ.)-এর সমতুল্য। ইয়াহুদীরা
প্রচন্ড শত্রুতার কারণে তাঁর মায়ের ওপর অপবাদ আরোপ করে। আর খ্রিস্টানরা অতিরঞ্জিত
ভালোবাসার কারণে তাঁকে এমন মর্যাদায় আসীন করলো যে মর্যাদা তাঁর ছিল না।
(আর রিয়াদুন নাদরাহ ৩:১৯৪,মুসনাদে আহমাদ ১:১৬০,আল
মুস্তাদরাক-হাকেম ৩:১২৩)
৮৩. বড় পুণ্য রাসূলুল্লাহ (সা.)
বলেছেনঃ
حُبُّ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ
حَسَنَةٌ لَايَضُرُّ مَعَهَا سَيِّئَةٌ، وَ بُغْضُهُ سَيِّئَةٌ لَا يَنْفَعُ
مَعَهَا حَسَنَةٌ.
আলীর প্রতি ভালোবাসা বড় পুণ্যের কাজ
যার কারণে কোনো মন্দই ক্ষতি করতে পারে না। আর তার সাথে শত্রুতা করা বড়ই নোংরা কাজ
যার কারণে কোনো পুণ্যের কাজই ফলপ্রসূ হয় না।
(আল ফেরদৌস ২:১৪২/২৭২৫,আল মানাকিব-খারেযমী : ৩৫)
সংগ্রহ ও সংকলন মুহাম্মদ ইয়ার হোসাইন